আজ সোমবার, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অন্তর চন্দ্র দাসের হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ফতুল্লায় গাড়ি ধোয়াকে কেন্দ্র করে কাভার্ডভ্যান চালকের সহযোগী অন্তর চন্দ্র দাস হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে তার পারিবার। প্রতারণা করে আপোসনামায় স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা ও ঘুষ দিয়ে মামলার অগ্রগতি রোধের অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট ) দুপুর ১টায় চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অভিযোগ করে নিহতের পরিবার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের মা শেফালী রাণী দাস, নানি সাধন রাণী, খালা লিপি রাণী, মামা খোকন চন্দ্র দাস ও এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে নিহত অন্তরের মা বলেন, ‘আমরা ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ওই কোম্পানির ড্রাইভার ওমর। আমরা মামলা করি কিন্তু এ মামলায় কোনো অগ্রগতি নেই। পুলিশ টাকা খেয়ে চুপ হয়ে আছে। এই মামলা যাতে আমরা উঠিয়ে নেই তাই আমাদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা আমাদের মিথ্যা বলে আপোসনামায় স্বাক্ষর করাতে চেয়েছে। কিন্তু আমরা স্বাক্ষর করি নাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি টাকা দিয়া কি করমু? আমার ছেলেকে মাইরা ফেলে এখন আমারে ভিক্ষা করতে কয়। পুলিশে আগে কইছে মা, তুমি পুত্রশোকী, তুমি বিচার পাইবা। এখন টাকা খাইয়া বইয়া রইছে। আমার মাথায় তেল নাই দেইখা বিচার নাই।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুলাই ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকায় ফিরোজ ফিলিং স্টেশনে গাড়ি না ধোয়াতে সহযোগী অন্তরকে লাঠি দিয়ে পেটায় চালক ওমর আলী। এক পর্যায়ে অন্তরের শরীরে ইনজেকশনও পুশ করে সে। ওই দিনই অসুস্থ্য হয়ে পড়ে অন্তর। পরে গত ১৩ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গোলাম মোস্তফা ইমন তাকে মৃত ঘোষণা করে।

অন্তর হত্যাকান্ডে কাভার্ড ভ্যানের মালিক পশ্চিম দেওভোগের বাসিন্দা মোখলেসুর রহমান ও তার ম্যানেজার বন্দরের ইস্পাহানি এলাকার শাহ্ আলম জড়িত উল্লেখ করে তাদেরও গ্রেফতারের দাবি জানান নিহত অন্তরের মা।

অন্তরের মামা খোকন চন্দ্র দাস বলেন, ‘পুলিশ মামলায় সঠিক তথ্য দেয়নি। অন্তরকে লাঠি নয় লিভার ফুললেন্স দিয়ে আঘাত করা হয়। আমরা আসামির দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম বলেন, মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও সম্পন্ন হয়েছে। আসামি এখন হাজতে আছে। পুলিশ সহযোগিতা না করলে তো আর আসামি গ্রেফতারই হতো না।